বুদ্ধির অভীক্ষার মান নির্ণয় : বুদ্ধি অভীক্ষার পরিমাপ বা মান বলে দেয় কোনো ব্যক্তি বুদ্ধির কোন স্তরভুক্ত। তাই বুদ্ধির নির্ভুল মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বুদ্ধি অভীক্ষার উপযোগিতা অনস্বীকার্য।
মানসিক অবস্থা : বুদ্ধি অভীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির সাধারণ মানসিক ক্ষমতা (General Mental Ability) ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতা (Special Mental Ability), সম্পর্কে জানা যায়। ফলে শিক্ষার্থীকে কোন পথে পরিচালিত করলে তাদের সঠিক জীবনাদর্শ গঠিত হবে, তা নির্ণয় করা সহজ হয়।
শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে : শিক্ষার্থীকে তার বুদ্ধি অভীক্ষার অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস বা classification করলে শিক্ষার্থী তার স্মৃতিশক্তি, যুক্তিশক্তি ও চিন্তাশক্তি অনুযায়ী পঠনপাঠন করতে পারবে।
পাঠক্রম ও শিক্ষামূলক নির্দেশনার ক্ষেত্রে : বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পাঠক্রম নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তার বুদ্ধির অভীক্ষার অনুযায়ী পাঠক্রম নির্বাচন এবং বিদ্যালয় কোন শ্রেণীভুক্ত হবে তা নির্বাচন করা সহজ হয়।
শিক্ষামূলক পরিচালনা : শিক্ষামূলক পরিচালনার ক্ষেত্রে বুদ্ধি অভীক্ষার প্রয়োজন হয়। কোন শিক্ষার্থী কোন শিক্ষা গ্রহণ করলে তার যথার্থ বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে তার অন্যান্য বিষয়ে বিকাশ হবে, তা বুদ্ধির অভীক্ষার দ্বারা জানা যায়। শিক্ষামূলক পরিচালনা ছাড়া অনুপযোগী শিক্ষা গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীর অর্থ, শ্রম এবং সময় নষ্ট হতে পারে।
বৃত্তিমূলক পরিচালনা : কোন শিক্ষার্থী কোন বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের উপযোগী তা বুদ্ধির অভীক্ষা দ্বারা নির্দেশিত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আগ্রহ, চাহিদা, বিশেষধর্মী মানসিক সামর্থ্য ইত্যাদি জানা আবশ্যিক।