‘Drain of wealth’ তত্ত্বের প্রবক্তা কারা? তাঁদের বক্তব্যের সারমর্ম কী।
Drain of wealth(ড্রেন অফ ওয়েলথ)তত্ত্বের প্রবক্তা কারা।
1857-58 খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি থেকে সরাসরি ইংরেজ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ভারতবর্ষের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভূত পরিবর্তন সাধিত হয়।
একদিকে যেমন উড-এর সুপারিশগুলি (Wood’s Despatch) কার্যকরী করা হয় এবং ভারতীয়দের গতিবিধির ওপর রাষ্ট্রের নজরদারি (State Surveillane) বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে হোম চার্জ (Home Charge)-এর অছিলায় লন্ডন থেকে ভারতের প্রশাসনিক ও সামরিক ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে বহু মাত্রায় সম্পদের নিষ্কাশন ঘটে, যার ধারাবাহিকতা পলাশির লুণ্ঠন থেকে লক্ষ করা যায়। সম্পদ নিষ্কাশনের এই প্রক্রিয়াকে ঐতিহাসিকগণ ড্রেন অফ ওয়েলথ (Drain of wealth) বলে অভিহিত করে থাকেন। Drain of wealth তত্ত্বের প্রবক্তা দাদাভাই নওরোজি (Dadabhai Naoroji)।
তাঁদের বক্তব্যের সারমর্ম ।
ঔপনিবেশিক যুগে ভারতীয়দের ওপর অর্থনৈতিক শোষণের আরও অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ ভারতীয়দের ওপর উচ্চ মাত্রায় কর আরোপ, ভারতে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক (Discriminatory Tariff) বসানো,।
ইংরেজ রাজকর্মচারিদের বেতন ও অবসরকালীন বার্ধক্য ভাতা (Pension) ভারতীয় কোশাগার থেকে প্রদান, ভারতীয় উপমহাদেশে রেললাইন বিস্তারের অজুহাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের যথেষ্ট ধ্বংসসাধন এবং কাঁচামালের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ (Market Monopoly) ইত্যাদি কারণে সাধারণ ভারতবাসী ও কৃষক সম্প্রদায় আর্থসামাজিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত হয়। ভারতের ঔপনিবেশিক শোষণজনিত দারিদ্রকরণ (Impoverishment) সর্বত্র প্রকট হয়ে ওঠে।