StudyMamu

গ্রিক ও গ্রিসের মধ্যে পার্থক্য

October 9, 2022

গ্রিক ও গ্রিসের মধ্যে পার্থক্য।

ভূমিকা: 

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রীকদের ইতিহাসকে মোটামুটিভাবে গ্রিস দেশের ইতিহাস বলা হয়। প্রাচীন গ্রিকরা যে অঞ্চলেই বাস করেছে, সেই অঞ্চলকেই গ্রিস বলে ভেবেছে। তাই বৃহত্তর গ্রিস বলতে আমরা জানি খাস গ্রিসের (ভূমধ্যসাগরের আইওনীয় ও ইজিয়ান সাগরের মধ্যস্থ উপদ্বীপ) পূর্বে ইজিয়ান সাগরের অসংখ্য দ্বীপ, ক্রীট, আধুনিক তুর্কীর উপকূল, এশিয়া-মাইনরের পশ্চিমাংশ, ইতালীর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, সিসিলি, সাইপ্রাস, উত্তর আফ্রিকার কাইরিনির অধিকাংশ, পশ্চিম স্পেন, দক্ষিণ ফ্রান্স এবং পূর্বে কৃষ্ণসাগরের সমীপস্থ বহু অঞ্চল।

গ্রিক ও গ্রিসের মধ্যে পার্থক্য: 

1) গ্রিক মূলত একটি ভাষা। এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। অন্যদিকে – গ্রিস হল একটি উপদ্বীপ। গ্রিস ভূখণ্ডকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে— উত্তর ও দক্ষিণ গ্রিস। উত্তর ও দক্ষিণ গ্রিসের মধ্যে সংযোগকারী অঞ্চল হল করিন্থ উপসাগর,যা গ্রীসকে যেন দু’টো দ্বীপে ভাগ করেছে।

2) গ্রিকরা ভূমধ্যসাগরের পশ্চিম স্পেনের পিরেনীজ পর্বতমালার কাছাকাছি অঞ্চল থেকে পূর্বে ককেশাস পাহাড় পর্যন্ত,দক্ষিণ রাশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করত। অন্যদিকে- গ্রিসের উত্তরাংশে ছিল থেসালি, এপিরাস, অ্যাকারনানিয়া,ইটোলিয়া, লোক্রিস, ডোরিস, ফোকিস, বিওসিয়া, মেগারিস ও অ্যাটিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্র। দক্ষিণাংশ পেলোপনেসাস নামে(পুরাকালে নাম ছিল ‘পেলপ দ্বীপ’) পরিচিত।এর দক্ষিণাংশে ছিল ল্যাকোনিয়া, মেসোনিয়া, আর্কেডিয়া,এলিস, আনেলিস, একিয়া, সিকিওনিয়া ও করিন্থ ইত্যাদি রাষ্ট্র।

Share Post :

Leave a Comment